মোঃ মাসুদ রানা, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রোববার বিকালে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী প্রমুখ। তারা কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসা শিক্ষার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন ও সিফাতের বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে সিফাত ফাহাদের ওপর হামলা এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ফাহাদ ও সিফাতের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
এ সময় সিফাত তার বহিরাগত বন্ধুদের ফোন দিলে তারা এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সিফাতও ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে গুরুতর আহত পাঁচজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হতে পারে। তাদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, নবীনবরণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে তারা পালিয়ে যান। এরপর নগরীতে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে।