
ইনছান আলী: ঝিনাইদহের রাজনীতিতে যেন ভূমিকম্প! জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই সাবেক চেয়ারম্যান-সহ সাবেক স্বৈরাচার ক্ষমতাসীন দলের তিন হেভিওয়েট নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গত বছরের বিএনপি কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ এর বাড়িতে আগুন এবং ভাঙচুর-সহ একাধিক মামলার ঘটনায় আদালত তাঁদের সরাসরি জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন!
এই খবর চাউর হতেই ঝিনাইদহের রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলার প্রভাবশালী এই নেতারা স্বেচ্ছায় আদালতে আসায় অনেকেই বলছেন, পরিস্থিতি ছিল ‘হিট’!
কারা এই তিন প্রভাবশালী নেতা? কেন এই আত্মসমর্পণ?
আজ সকালে বিভিন্ন জুডিশিয়াল আমলী আদালতে এই তিন নেতা একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণকারী নেতারা হলেন:
জাহাঙ্গীর হোসাইন: হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
রানা হামিদ: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রাকিবুল হাসান রাসেল: রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
এই তিন নেতার বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট ২০২৪ সালে বিএনপি কার্যালয়-সহ বিভিন্ন বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় এক বছরের পুরোনো এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। শেষমেশ, আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে নয়, বরং আত্মসমর্পণের পথেই হাঁটতে হলো তাঁদের।
রাজনৈতিক মহলে ‘টক অফ দ্য টাউন’
দলীয় পদে থাকা ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের এই আকস্মিক আত্মসমর্পণ এবং জেল হাজতে যাওয়ার ঘটনা ঝিনাইদহ জুড়ে এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’।
নেতাদের কারাগারে পাঠানোয় তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঝিনাইদহের রাজনীতিতে তাদের অনুপস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা!