এ.এস আব্দুস সামাদঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে ড্রেনের স্লাব ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই আমলে নিচ্ছে না ফলে ঘটে যেতে পারে ছোট বড় দূর্ঘটনা। কালীগঞ্জ শহরটি সর্বসময় ব্যাস্ততম থাকে এতে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শহরের সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়িদের অভিযোগ,সঠিক তদারকির অভাবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে বলেই ড্রেনের উপরের স্লাব ভেঙ্গে গেছে।এ সিলাবের উপর দিয়ে ব্যবসায়িরা ও সাধারন মানুষ চলাচল করে। ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ব্যবসায়িদের মালামাল ও দোকানের ক্রেতারা ঠিকমত চলাচল করতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যবসায়ি ও পথচারিরা পড়েছে মহাবিপাকে।দীর্ঘদিন স্লাবটি ভেঙ্গে রয়েছে কিন্তু প্যেরসভা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। এ ভাংগার স্থানে রয়েছ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তারা অনেক টা আতংকের মধ্যে পড়েছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উন্মুক্ত ড্রেন গুলো কয়েক মাসেও পরিষ্কার করা হয় না। কয়েক টন প্লাস্টিক,বোতল,বিভিন্ন খাবার হোটেলের ময়লা আবরজনা,বাসা বাড়ির বাথ রুমের ময়লা, চিপসের প্যাকেটসহ ময়লা জমে প্রতিটি ড্রেন অচল হয়ে থাকে। এতেই জন্ম নিচ্ছে মশা,ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু।এছাড়া অল্প বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানিতে তলিয়ে যায় কালীগঞ্জ শহরের রাস্তা। ফলে বছরের অধিকাংশ সময়েই দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে নিত্যকর্ম সারতে হয় এলাকাবাসীর।এছাড়া ড্রেনেজের ময়লা পানিতে সেঁতসেঁতে পিচ্ছিল হয়ে আছে রাস্তাগুলো।এলাকাবাসী জানান,দীর্ঘ দিনের গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি পেরিয়েই বছরের পর বছর চলাচল করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই পিচ্ছিল রাস্তায় পড়ে গিয়ে অনেক শিশু ও বৃদ্ধদের পা ভেঙেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা, অলিগলি,স্কুল, হাসপাতাল সড়ক,কাীলবাড়ির সামনে,কলেজ পাড়া, আড়পাড়া, মধুগঞ্জ বাজার,পানিতে তলিযে যায়। ঘন্টার পর ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দিনে দিনে পানি নেমে না যাওয়ায়নগরজীবন কার্যত থমকে দাড়ায়। এটা যেন কালীগঞ্জ শহর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিয়মিত দুর্যোগ।এটা কি শুধুই প্রকৃতি বা অতিবৃষ্টির দোষ,নাকি আমাদের উন্নয়নের নামে নেওয়া পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্ত, অব্যবস্থাপনা ও দখলবাজির নির্মম প্রতিফলন।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই এখন বর্ষাকালে পানি জমে থাকে। ড্রেন দিয়ে পনি উপচে পড়ে রাস্তায় ও নর্দমার পানি ঢুকে পড়ে ঘরে। গৃহবন্দি হয়ে যায় মানুষ, বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট, স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা, অফিস। ইতিহাস বলছে-একসময় এই শহরে বৃষ্টি হলেই এমন জলাবদ্ধতা হতো না। পনি চোলৈ যেত চিত্রা নদীতে।কিন্তু কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় পানি নামতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বা কয়েকদিন সময় লাগে। বৃষ্টিপাত সামাল দেওয়ার মতো একাধিক নতুন ড্রেনেজ অবকাঠামো তৈরি হয়েছে কিন্তু পৌরসভায় কাগজে-কলমে অনেক প্রকল্পের কথা বললেও, বাস্তবায়নে তা প্রায় নিস্তেজ।যে মাটি একসময় পানি শুষে নিত, এখন সেখান থেকে পানি সরার কোনো পথ নেই। যে কারনে পৌরসভার মানুষের দূভোগের শেষ নাই।