এ.এস আব্দুস সামাদঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহে বিদেশি ফল চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও সদর উপজেলার কৃষকরা এখন চাষ করছেন অ্যাভোকাডো, রাম্বুটান, লংগান ও আঙুরের মতো ভিনদেশি ফল। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা এই আবাদ এখন বাণিজ্যিক রূপ নিচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, উর্বর পলিমাটিতে এই ফলগুলোর চাষে খরচ কম, আবার ফলন ভালো। ফলে চাহিদা বাড়ছে এবং বাজারেও মিলছে ভালো দাম। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরের রেস্টুরেন্ট ও ফলের দোকানগুলোতে সরবরাহ হচ্ছে ঝিনাইদহের ফল।
কালীগঞ্জ উপজেলার চাচড়া গ্রামের কৃষক শাহিনুর রহমান ৩ বিঘা জমিতে অ্যাভোকাডো চাষ
করে পেয়েছেন বাম্পার ফলন। ২০১৯ সালে থাই-ল্যান্ড থেকে চারা এনে বাগান তৈরি করেন তিনি। শুরুতে মানুষের হাসাহাসি থাকলেও এখন সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অন্যরাও।
অন্যদিকে স্কুলশিক্ষক ও কৃষি উদ্যোক্তা হাফিজুর রহমান সফলভাবে চাষ করেছেন লংগান ফল। কৃষক আরিফুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদের আঙুর বাগানেও পাওয়া গেছে চোখে পড়ার মতো ফলন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহে ১ হেক্টর জমিতে রাম্বুটান, ২ হেক্টরে অ্যাভোকাডো এবং ২.২৫ হেক্টরে আঙুর চাষ হয়েছে।
উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, “ঝিনাইদ-হের মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বিদেশি ফলের চাষ সফল হচ্ছে। কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমবে, কৃষি হবে টেকসই।