মোঃ মাসুদ রানা কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর মেয়র পদে চারবারে তিনজন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁদের কেউই বড় ও মাঝারি কাজের প্রকল্পে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। সিদ্ধান্ত আসতো কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের কাছ থেকেই। মেয়রের চেয়ারে বসে কোন সিদ্ধান্তের জন্য এমপির দিকে চেয়ে থাকতে হতো। এমপির অফিস থেকে সিদ্ধান্ত এলে প্রকল্প নেওয়া হতো। কাজ ভাগেরও নির্দেশ দিতেন এমপি। এ অবস্থায় ছোটখাটো উন্নয়ন কাজ ভাগাভাগি ছাড়া নগর ভবনে দৃশ্যমান বড় কোন কাজ হয়নি গত ১২ বছরে। স্থায়ী জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেবল ৮০০ দলীয় কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পুনর্বাসন করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এগুতে পারেনি। ১৮৬৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই পৌরসভা বিলুপ্ত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির সমর্থনে নাগরিক সমাজের ব্যানারে ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. মনিরুল হক সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র ছিলেন সাক্কু। মনিরুল হক সাক্কু ২০২২ সালের জুনের আগ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। সাক্কুর পুরো সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন। ওই সময়ে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেননি মেয়র সাক্কু। যেকোন প্রকল্প নিতে গেলে আসতো এমপির বাধা। পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারও। বড় কাজগুলো বাছাই করে নিয়ে যেতেন এমপি। জনবল আনার ক্ষেত্রে মেয়রকে সহযোগিতা করেননি এমপি। কেবল কাজ ভাগাভাগি করতেন। নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমপির প্রভাব ছিল। ফলে সাক্কু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কাজ করতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী।
কেবল বিএনপির মেয়র সাক্কুর সময়ে নয়, নিজ দলের মেয়রের ক্ষেত্রেও আ ক ম বাহাউদ্দিন একই ভূমিকায় ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাক্কুর বিরুদ্ধে ৩৪৩ ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিফাতও স্বস্তিতে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রিফাত মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নগর ভবনেও অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে যেতেন না। কোন কাজে মেয়রের কাছে গেলে বলতেন,‘ বাহার ভাইকে জিজ্ঞেস করে জানাব।’
২০২৪ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে তাহসীন বাহার। মেয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরও শোনা যেতো- বাবুজিকে জিজ্ঞেস করে নিই।
কুমিল্লা নগরের একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন,‘ শুধু কি মেয়র, তিনি (বাহাউদ্দিন) আইন প্রণেতা হয়েও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ক্ষেত্রবিশেষে কাউন্সিলরের কাজও দেখতেন। নগর থেকে ইউনিয়নের ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ আমি বিএনপি দলীয় মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রকল্প আনতে হয়েছে। তিনি বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করতেন। তবে সাধারণ মানুষের কাজগুলো আমি নিজ উদোগে করতাম। গরিব মানুষের কাজ করতাম। নালা পরিষ্কার করতাম। রাস্তা করতাম। যে কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তাঁরা এখনও সাক্কুর লগে আছে।’
সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনও বন্ধ। সাবেক মেয়র ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহারও পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।।।মোঃ মাসুদ রানা কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
।।কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর মেয়র পদে চারবারে তিনজন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁদের কেউই বড় ও মাঝারি কাজের প্রকল্পে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। সিদ্ধান্ত আসতো কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের কাছ থেকেই। মেয়রের চেয়ারে বসে কোন সিদ্ধান্তের জন্য এমপির দিকে চেয়ে থাকতে হতো। এমপির অফিস থেকে সিদ্ধান্ত এলে প্রকল্প নেওয়া হতো। কাজ ভাগেরও নির্দেশ দিতেন এমপি। এ অবস্থায় ছোটখাটো উন্নয়ন কাজ ভাগাভাগি ছাড়া নগর ভবনে দৃশ্যমান বড় কোন কাজ হয়নি গত ১২ বছরে। স্থায়ী জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেবল ৮০০ দলীয় কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পুনর্বাসন করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এগুতে পারেনি। ১৮৬৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই পৌরসভা বিলুপ্ত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির সমর্থনে নাগরিক সমাজের ব্যানারে ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. মনিরুল হক সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র ছিলেন সাক্কু। মনিরুল হক সাক্কু ২০২২ সালের জুনের আগ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। সাক্কুর পুরো সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন। ওই সময়ে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেননি মেয়র সাক্কু। যেকোন প্রকল্প নিতে গেলে আসতো এমপির বাধা। পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারও। বড় কাজগুলো বাছাই করে নিয়ে যেতেন এমপি। জনবল আনার ক্ষেত্রে মেয়রকে সহযোগিতা করেননি এমপি। কেবল কাজ ভাগাভাগি করতেন। নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমপির প্রভাব ছিল। ফলে সাক্কু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কাজ করতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী।
কেবল বিএনপির মেয়র সাক্কুর সময়ে নয়, নিজ দলের মেয়রের ক্ষেত্রেও আ ক ম বাহাউদ্দিন একই ভূমিকায় ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাক্কুর বিরুদ্ধে ৩৪৩ ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিফাতও স্বস্তিতে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রিফাত মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নগর ভবনেও অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে যেতেন না। কোন কাজে মেয়রের কাছে গেলে বলতেন,‘ বাহার ভাইকে জিজ্ঞেস করে জানাব।’
২০২৪ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে তাহসীন বাহার। মেয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরও শোনা যেতো- বাবুজিকে জিজ্ঞেস করে নিই।
কুমিল্লা নগরের একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন,‘ শুধু কি মেয়র, তিনি (বাহাউদ্দিন) আইন প্রণেতা হয়েও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ক্ষেত্রবিশেষে কাউন্সিলরের কাজও দেখতেন। নগর থেকে ইউনিয়নের ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ আমি বিএনপি দলীয় মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রকল্প আনতে হয়েছে। তিনি বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করতেন। তবে সাধারণ মানুষের কাজগুলো আমি নিজ উদোগে করতাম। গরিব মানুষের কাজ করতাম। নালা পরিষ্কার করতাম। রাস্তা করতাম। যে কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তাঁরা এখনও সাক্কুর লগে আছে।’
সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনও বন্ধ। সাবেক মেয়র ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহারও পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ।।মোঃ মাসুদ রানা কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
।।কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর মেয়র পদে চারবারে তিনজন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁদের কেউই বড় ও মাঝারি কাজের প্রকল্পে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। সিদ্ধান্ত আসতো কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের কাছ থেকেই। মেয়রের চেয়ারে বসে কোন সিদ্ধান্তের জন্য এমপির দিকে চেয়ে থাকতে হতো। এমপির অফিস থেকে সিদ্ধান্ত এলে প্রকল্প নেওয়া হতো। কাজ ভাগেরও নির্দেশ দিতেন এমপি। এ অবস্থায় ছোটখাটো উন্নয়ন কাজ ভাগাভাগি ছাড়া নগর ভবনে দৃশ্যমান বড় কোন কাজ হয়নি গত ১২ বছরে। স্থায়ী জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেবল ৮০০ দলীয় কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পুনর্বাসন করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এগুতে পারেনি। ১৮৬৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই পৌরসভা বিলুপ্ত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির সমর্থনে নাগরিক সমাজের ব্যানারে ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. মনিরুল হক সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র ছিলেন সাক্কু। মনিরুল হক সাক্কু ২০২২ সালের জুনের আগ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। সাক্কুর পুরো সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন। ওই সময়ে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেননি মেয়র সাক্কু। যেকোন প্রকল্প নিতে গেলে আসতো এমপির বাধা। পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারও। বড় কাজগুলো বাছাই করে নিয়ে যেতেন এমপি। জনবল আনার ক্ষেত্রে মেয়রকে সহযোগিতা করেননি এমপি। কেবল কাজ ভাগাভাগি করতেন। নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমপির প্রভাব ছিল। ফলে সাক্কু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কাজ করতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী।
কেবল বিএনপির মেয়র সাক্কুর সময়ে নয়, নিজ দলের মেয়রের ক্ষেত্রেও আ ক ম বাহাউদ্দিন একই ভূমিকায় ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাক্কুর বিরুদ্ধে ৩৪৩ ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিফাতও স্বস্তিতে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রিফাত মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নগর ভবনেও অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে যেতেন না। কোন কাজে মেয়রের কাছে গেলে বলতেন,‘ বাহার ভাইকে জিজ্ঞেস করে জানাব।’
২০২৪ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে তাহসীন বাহার। মেয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরও শোনা যেতো- বাবুজিকে জিজ্ঞেস করে নিই।
কুমিল্লা নগরের একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন,‘ শুধু কি মেয়র, তিনি (বাহাউদ্দিন) আইন প্রণেতা হয়েও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ক্ষেত্রবিশেষে কাউন্সিলরের কাজও দেখতেন। নগর থেকে ইউনিয়নের ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ আমি বিএনপি দলীয় মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রকল্প আনতে হয়েছে। তিনি বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করতেন। তবে সাধারণ মানুষের কাজগুলো আমি নিজ উদোগে করতাম। গরিব মানুষের কাজ করতাম। নালা পরিষ্কার করতাম। রাস্তা করতাম। যে কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তাঁরা এখনও সাক্কুর লগে আছে।’
সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনও বন্ধ। সাবেক মেয়র ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহারও পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুজ্জামান সুমন
মোবাইল :০১৯৩০-৫৫৬৩৪৩
ই-মেইল: 𝐬𝐮𝐦𝐨𝐧𝟔𝟑𝟑𝟔@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :
৭১,পুষ্প প্লাজা (৪র্থ তলা) কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত