এ.এস আব্দুস সামাদ শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে শিকলবন্দী অবস্থায় থাকা নাজনীন খাতুনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল শৈলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে অসহায় এ পরিবারটির সাথে দেখা করে। এসময় তারা পরিবারটির হাতে নগদ অর্থসহ জানান যে, নাজনীর সমস্ত চিকিৎসার দায়ভার ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেছেন তারেক রহমান।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘১৮ বছর বয়সী নাজমিনের ১৩ বছর ধরে শিকলবন্দী জীবন, সারাদিন কাটে অন্ধকার ঘরে’ শিরোনামের এক ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি ভাইরাল হলে বিষয়টি তারেক রহমানের নজরে আসে এবং তিনি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিঠু, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে নাজনীন খাতুনের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে দেশের ৪০টির বেশি জেলায় অসহায় ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত-নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ নাজনীন খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন। ভবিষ্যতেও মানবিক সহায়তার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের আনন্দনগর গ্রামের দিনমজুর নাছির মন্ডল ও বুলবুলি খাতুনের ১৮ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী মেয়ে নাজনীন অসুস্থ অবস্থায় ১৩ বছর ধরে ঘরের এক কোণে শিকলবন্দী অবস্থায় রয়েছে। অর্থের অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে চরম অসহায়ত্বে দিন পার করছে। নাজনীনের ছোট ভাই জোবায়েরও মানসিক প্রতিবন্ধী। তারেক রহমানের সহযোগিতায় অবশেষে নাজনীনকে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার নতুন আশার আলো দেখেছে পরিবারটি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুজ্জামান সুমন
মোবাইল :০১৯৩০-৫৫৬৩৪৩
ই-মেইল: 𝐬𝐮𝐦𝐨𝐧𝟔𝟑𝟑𝟔@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :
৭১,পুষ্প প্লাজা (৪র্থ তলা) কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত