
স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন বসতঘর ভাংচুর ও ক্ষেতের ফসল নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কামরুল হাসান।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়নের যোগীপাড়া গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে কামরুল হাসান পার্শ্ববর্তী ত্রিবেনী ইউনিয়নের ১৬ নং পদমী মৌজায় আরএস খতিয়ান ২০৫ ও ২৩১ নং দাগে ৪.৯৯ শতাংশ জমি খোস কবলা দলিল মুলে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করে বছর খানেক চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
তার বসতবাড়ী দুরে হওয়ায় স্থানীয় সংঘবদ্ধ কিছু চাঁদাবাজ তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে জমির ফসল নষ্টসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
উপায়ন্ত না পেয়ে কামরুল হাসান গত ২৭ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-১৩৪১।
থানায় সাধারণ ডায়েরির খবর শুনে আরো বেশি উশৃংখল হয়ে পড়ে চাঁদাবাজরা।
পরবর্তীতে বসবাসের উদ্দেশ্যে উক্ত জমিতে টিনসেড ঘর নির্মান করতে গেলে গত ৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকেলে স্থানীয় চাঁদাবাজ দলের সদস্য হালিম, রুবেল, মহির, শহিদুল, মনিরুলসহ বেশ কয়েকজন এসে নির্মানাধীন ঘর ভেঙে ফেলে।
এসময় জমির মালিক কামরুল ও ঘর নির্মান শ্রমিকদের উপর হামলা করলে তারা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়।
পরবর্তীতে জমিতে থাকা ফসল খাস পঁচা ঔষধ ছিটিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগকারী কামরুল হাসান জানান, তিনি সকল প্রকার কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করে পদমী মৌজায় ৪.৯৯ শতাংশ জমি কিনেছেন। কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজদের টাকা না দিলে সেখানে চাষাবাদ ও ঘর নির্মান করতে দিচ্ছে না। তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
জমির বৈধ কাগজপত্র, ক্ষতিগ্রস্থ নির্মাণাধীন ঘরের ছবি, চাঁদাবাজদের নামের তালিকা, থানায় করা জিডি এ লিখিত অভিযোগের কপি নিয়ে ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার তিনি সাংবাদিকদের কাছে হাজির হয়ে এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে এসআই মান্নানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজীর অভিযোগ প্রমান হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।