শৈলকূপা উপজেলা প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সিন্ডিকেট আছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ছত্রছায়ায় অনিয়ম গুলো এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছে, যেমন - এই হাসপাতালে ডাক্তার সংকট কিন্তুু যারা আছেন তারা বিভিন্ন ক্লিনিকে সনো,অপারেশন, রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত,ফলে সাধারন রোগীদের সেবার বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া এখানে প্রতিদিন সকালে রাউন্ডে একজন ডাক্তার বিভিন্ন ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় /আয়াদেরকে ডেকে নিয়ে ১৫০ জন রোগীর সেবা দেন, আসলেও কি একজন ডাক্তার ১৫০ জন রোগীর ২ ঘন্টার মধ্যে সেবা দিতে পারে? আমার জানা নেই। আবার একই সময়ে সমস্ত রোগীদের বিভিন্ন প্রকার টেস্টগুলো হাসপাতালে না করিয়ে পার্শবর্তী সকল ক্লিনিকে করান, এর ফলে একটি পার্সেন্টেজ ঐ ডাক্তার প্রতিদিনই পান, ফলে অন্য ডাক্তারদেরকে সকালে রাউন্ড দিতে দেন না।যার ফলে হাসপাতালের রোগীদের যত টেস্ট করানো হয় সমস্ত টেস্ট গুলো হাসপাতালের ভিতরে সরকারী কোয়ার্টারে মুল প্রবেশদ্বারে তার নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড টানিয়ে চেম্বারে বসে টাকার বিনিময়ে ঐ সমস্ত ভর্তি রোগীদের রিপোর্ট করেন। আমার জানা নেই একজন ডাক্তার কিভাবে প্রকাশ্যে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সাইনবোর্ড টানিয়ে ভর্তি রোগীদের টাকার বিনিময়ে সেবাদান করতে পারেন কি না? শুধু এখানেই শেষ নয়, মাস গেলে রিপ্রেজেনটেটিভদের কাজ থেকে বিভিন্ন কম্পানির ঔষধ প্রেসক্রিপশন করা বাবাদ মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়,আবার কথিত আছে, নিম্ন কোম্পানির ঔষধ প্রেসক্রিপশন করলে বেশি কমিশন পাওয়া যায়, এতে নামিদামি কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে মাঝে মধ্যে নানা প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই হাসপাতালে কিছুদিন আগেও ফ্রি প্রসুতি মায়ের সিজার করানো হতো সপ্তাহে দুই দিন, সেটিও তিনি বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে নিজেই সিজার করান । যদি সাধারন মানুষ প্রশ্ন করে সিজার বন্ধ হলো কেন? তখন তিনি বলেন, এ্যানেস্থেসিয়া/ অজ্ঞান করা ডাক্তার নাই অথচ ঐ ডাক্তার বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে একাই (সিজার + অজ্ঞান ডাক্তার) হয়ে অপারেশন করান। এছাড়াও গত ১৩ তারিখে সাপে কেটে মেহেদী হাসান হৃদয় নামে একটি ছেলে রাত ১:০০ ঘটিকার সময় সাপে দংশন করলে সাপ সহকারে হাসপাতালে আসলে তারা এন্টিভেনম না দিয়ে দেড় যন্টা পর পুশ করলে রোগীর অবস্হার আরো অবনতি হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষনা করেন। তার স্বজনদের দাবি সম্পুর্ন অবহেলায় মারা গেছে হৃদয়। তার কারন সঠিক সময়ে এন্টিভেনম প্রয়োগ করেননি ফলে অকালেই ঝরে গেল এতটি সমাজসেবী যোদ্ধা, ক্ষমা করে দিও ভাই? তুমি নিজেও অনেক মুমূর্ষু রোগীর রক্তদিয়ে জীবন বাঁচিয়েছো অথচ আমরা তোমার জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হলাম। কে নেবে তোমার মৃত্যু দায়? কেন সঠিক সময়ে এন্টিভেনম দিল না? আল্লাহ তুমিই ভালো জানো? হে আল্লাহ তুমি মেহেদি হাসান হৃদয়কে জান্নাতের উত্তম মাকাম দান কর। উল্লেখ্য যে, আজ সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় মেহেদী হাসান হৃদয়ের বন্ধুরা শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানব বন্ধন করে এতে শতাধিক ছেলেমেয়ে মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুজ্জামান সুমন
মোবাইল :০১৯৩০-৫৫৬৩৪৩
ই-মেইল: 𝐬𝐮𝐦𝐨𝐧𝟔𝟑𝟑𝟔@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :
৭১,পুষ্প প্লাজা (৪র্থ তলা) কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত