মহেশপুর (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা রহিমা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রহিমা বেগমের ছেলে মিলন ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন (২২) দুজনেই বাকপ্রতিবন্ধী। তারা ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। পূজার সময় তারা মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে আসেন। প্রতিদিন ভিক্ষা শেষে স্বামী-স্ত্রী যেকোনো স্থানে রাত যাপন করতেন। ঘটনার দিন তারা মহেশপুরের বাতানগাছি এলাকায় অবস্থানকালে স্থানীয় এক যুবক তরিকুল ইসলাম (২৮), পিতা- অহিদুল ইসলাম, গ্রাম বাথানগাছি, থানা মহেশপুর, জেলা ঝিনাইদহ তাদের সঙ্গে দেখা করে। সে আসমা খাতুনকে কিছু খাবার-দাবার কিনে দেয় এবং পরে অধিক প্রলোভন দেখিয়ে সেগুন বাগানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ভিকটিম কিছুদিন নীরব থাকেন এবং পরে তার স্বামী মিলনকে বিষয়টি জানান। গত ১০ অক্টোবর বিকেলে মির্জাপুর বাজারে ভিকটিমের স্বামী মিলনের সঙ্গে তরিকুলের দেখা হলে মিলন বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তরিকুল রাগান্বিত হয়ে তাকে মারধর করে।পরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে মিলনের মা রহিমা বেগম মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।