মোঃ রমজান আলীঃ গত বুধবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজলার যাদবপুর ইউনিয়নের জললুলি গ্রামে বেদনাদায়ক এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নানা সমালোচনা শুরু হয়। এরপর টনক নড়ে প্রশাসনের।
সন্তান বিক্রিতে সহায়তা এবং পিয়ারলেস হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র না থাকায় মালিক সেলিম রেজা বাবুকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ওই হাসপাতালের নার্স ইসমোতারা খাতুনকে নিয়মিত মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সেই সঙ্গে মহেশপুর থানার ওসি নজরুল ইসলামকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পরিবারিকভাবে মহেশপুর উপজেলায় যাদবপুর ইউনিয়নের জললুলি গ্রামের খলিলের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সাথে একই গ্রামের ছাত্তারের ছেলে আলামিনের বিয়ে হয়।
এ সময়ের মধ্যে তাদের সংসারে ১ মেয়ে ও আরও ১ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তৃতীয় সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই আলামিন মাঠে কৃষিকাজ করার সময় স্ট্রোক করে মারা যান।
অভাব-অনাটনের সংসারে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেন করে চলতে থাকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের প্রস্রাব বেদয়া শুরু হলে মহেশপুর নেপার মোড় পিয়ারলেস হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
সিজারের ও ধারদেনার টাকা পরিশোধের জন্য লোকজন তাকে চাপ দিয়ে আসছিল।
উপায়ান্তর না পেয়ে মা সুমাইয়া খাতুন মহেশপুর পিয়ারলেস হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনের সহায়তায় নবজাতককে ফরিদপুর জেলার এক নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে ৬৫ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে দেন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন জানান, আমরা বিষয়টা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং সন্তান বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লিনিকে সিলগালা,
একই সঙ্গে জরিমানা এক নার্সকে সাজা এবং নবজাতককে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।