এ.এস আব্দুস সামাদ ঝিনাইদহ বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত এক উঠান বৈঠকে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, মাদক বিক্রি ও সেবনের তথ্য পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না। এ সময় এক ভুক্তভোগী জানান, ৯৯৯-এ অভিযোগ করার পরও স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সহায়তায় গাঁজা গাছ সরিয়ে ফেলেছে। শালিখা গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, “আমি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে গাঁজা গাছ লাগানোর তথ্য দিই। অভিযোগ নম্বরও পাই। কিন্তু কিছুদিন পর মাদক ব্যবসায়ী তার পুলিশের ভাইয়ের সহায়তায় ১৪টি গাঁজা গাছ তুলে ফেলেছে। অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।” ২৭ জুলাই শনিবার বিকেল ৫টায় ফরাশপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ঝন্টুর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরাশপুর, শালিখা, বারইপাড়া ও মোস্তবাপুর গ্রামের কয়েকশ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, গ্রামগুলোতে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবন চললেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে তরুণ সমাজ ভয়াবহভাবে মাদকে জড়াচ্ছে। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল বিশ্বাস, ফরহাদ আহমেদ, দাউদ আলী বিশ্বাস, আকিদুল ইসলাম, পঙ্কজ দাস, ঈমান আলী, আব্দুল খালেক, আব্দুল ওয়াদুদসহ প্রায় ১০ জন। বক্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে মাদক ব্যবসা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান দেখা যায়নি। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। সভা শেষে চারটি গ্রামের মানুষ মিলে একটি মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সুশীল সমাজ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মাদকবিরোধী এমন উদ্যোগ সচরাচর দেখা যায় না। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা থেকে সরে এসে সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন তারা। উঠান বৈঠকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয়ভাবে আরেকটি বৈঠক মাসের শেষে আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে