নালিতাবাড়ী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের লুৎফন নাহার (৭০), বৃদ্ধ বয়সেও এক কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত। নিজের কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি বর্তমানে তার জামাই তোলা মিয়া (৫৪)-এর সংসারে আশ্রিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তোলা মিয়া প্রায় ২০ বছর ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছেন, যার ফলে তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হলেন তাদের ছোট নাতি, যিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তার সামান্য আয়েই কোনোমতে সংসার চলে, নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা।
জরাজীর্ণ মাটির ঘর, ভাঙনের মুখে আশ্রয়
লুৎফন নাহারের ভাষ্যমতে, “আমাগো থাকার মাটির দালান ঘরডাও ভাইঙ্গা যাইতাছে। জাগায় জাগায় ফাইট মারছে। মরার আগে এডা ভালা ঘরে থাকার ইচ্ছা।” অর্থাৎ, তাদের মাটির তৈরি জরাজীর্ণ ঘরটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে, যেখানে ফালের মতো বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছা, মৃত্যুর আগে অন্তত একটি ভালো ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া।
তোলা মিয়ার পরিবারে স্ত্রী, দুই বিবাহিত মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। এই আধুনিক যুগেও তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল একটি ভাঙা মাটির ঘর। একটি নতুন ঘর নির্মাণের মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।
তোলা মিয়া বলেন, “আমি অসুস্থ মানুষ, পোলার রোজগারে সংসার চালাই। পোলা যা বেতন পায় তা দিয়ে নুন আনতেই পান্তা ফুরায়। ঘর দেওয়ার মতো টাকা কই পামু?” তার এই কথা থেকেই পরিবারের চরম আর্থিক সংকটের চিত্র স্পষ্ট।
স্থানীয়দের মতে, এই পরিবারটি দিন এনে দিন খায়। তাদের পক্ষে নিজেদের উদ্যোগে একটি ঘর তৈরি করা একেবারেই অসম্ভব।
লুৎফন নাহার ও তার পরিবারের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি, বেসরকারি বা কোনো ব্যক্তি উদ্যোগে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
এই বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন আছে কি, অথবা আপনি এই পরিবারটিকে সাহায্য করার জন্য আর কোনো তথ্য জানতে চান?