বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের কানাইনগরে রিপন মিয়ার স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রাশিদা আক্তার (২৮) কে আজ দুপুরে তার শশুড়বাড়ীর লোকজন পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনেরা।
গতকাল বিকাল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পান্না বনিক বলেন, রাশিদাকে আশংকাজনক অবস্থায় আনা হয়, আমি তাকে ওয়াশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করি। পরে শুনেছি পথিমধ্যে তিনি মারা গেছেন। ”
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত করলেই জানা যাবে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ”
নিহত রাশিদার পিতা পৌরসভার দশদোনা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ও রাশিদার ফুফু আছমা আক্তার জানান, আমাদের মেয়ে রাশিদাকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে কেরির ঔষধ দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে এলাকায় প্রচার করে। কিন্তু সে আত্মহত্যা কেন করবে? তার ৮ ও ৪ বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। রাশিদার ননদ ও চাচাসহ শশুড়বাড়ির লোকজন পারিবারিক অশান্তির কারণে পিটিয়ে মেরেছে। এর বিচার চেয়ে আমরা মামলা করবো। ”
নিহতের বড় সন্তান মো. আব্দুল্লাহ (৮) সাংবাদিকদের জানায়, “আমার আম্মুকে ফুফু জুলেখা গাছের ডাল (লাকড়ি) দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।”
রাশিদাকে মেরে ফেলার অভিযোগে
অভিযুক্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তি
জুলেখা বলেন,তাদের অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা। আমার ভাইয়ের স্ত্রী রাশিদা পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিলো। প্রবাসী ভাই রিপনের সাথে আজ সকালে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সে কেরির ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।পরকীয়ার বিষয়টি আমরা রাশিদার বাবা মাকে আগেও জানানো হয়েছিলো।রাশিদাকে বাঁচানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছি।উল্টো তারা আমাকে সহ আমার আরেক বোনকে বেদম পিটিয়েছে।আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে।”