স্টাফ রিপোর্টার: বাঁওড়সহ খাসজলাশয়ে ইজারা বাতিলসহ সামাজিক মালিকানার দাবিতে বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিল শেষে সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন সংগঠনটি। বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়া, ফতেপুর, মর্জাদ, বেড়গোবিন্দপুরসহ দেশব্যাপী সকল জলমহালে ইজারা পদ্ধতি বাতিল করে প্রথাগত ও ন্যায়সঙ্গত সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন, উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি, রেশন, পেনশন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও যৌথ তদারকিসহ ৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মাননীয় জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহ-এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শহরের ডা. কে আহমেদ সড়কস্থ সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে থেকে লাল পতাকা মিছিল শেষে পায়রা চত্ত্বরে বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নির্মল হালদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুজন বিপ্লব, ঝিনাইদহ জেলা সংগঠক নিত্য হালদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজু সমিতির জেলা সভাপতি কাজী ফারুক, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি আবু তোয়াব অপু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বাঁওড় জলমহালে প্রথাগত ও ন্যায়সঙ্গত সমাজভিত্তিক মালিকানার রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা বিধানে দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনায় অর্থনৈতিক অভিঘাতে নিঃস্ব, ভূমিহীন, বাঁওড় ভূমিজ মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান বাস্তবতায় মাছ উৎপাদনে ৬০ শতাংশ মালিকানা জেলেদের অধিকার ও ৪০ শতাংশ মালিকানা রাষ্ট্রপক্ষে যৌথ উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তিনামা বাস্তবায়নে বাঁওড়সহ জলমহালে সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানার ৪ দফা দাবিসমূহ অবিলম্বে না বাস্তবায়ন না করা হলে জোরদার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নেওয়া হবে। নেতৃবৃন্দ সমাবেশে আরো বলেন, নতুন দিনের বৈষম্যহীন ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে, সে অগ্রযাত্রায় অতি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বাঁওড়ের মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তায় উপরোক্ত দাবিনামা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নে সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।