স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত পিংকী রানী দাস (২৭) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর এলাকার শ্রীকান্ত কুমার দাসের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ছয়জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছর আগে পারিবারিকভাবে পিংকী রানী দাসের বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী গ্রামের সুমন কুমার দাসের (৩২) সঙ্গে। তাদের ঘরে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান এবং আট মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযোগ মতে, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন কারণে পিংকীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
গত ২১ মে সন্ধ্যায় স্বামীর কাছে কাপড়চোপড় কিনে দেওয়ার অনুরোধ করেন পিংকী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে, অভিযোগ অনুযায়ী, স্বামী সুমন কুমার দাস, শ্বশুর ভগিরত দাস, প্রতিবেশী রামকৃষ্ণসহ আরও কয়েকজন মিলে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিংকীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আরও নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে আহত অবস্থায় তাকে তার বাবার বাড়ির লোকজন ২৩ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মে বিকেলে পিংকী মারা যান। কুষ্টিয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার মণ্ডল লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
নিহতের বাবা শ্রীকান্ত কুমার দাস বলেন, ‘মেয়ে মারা যাওয়ার পর এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম যে, মামলা করতে কিছুদিন সময় লেগেছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খাঁন জানান, গতকাল রাতে এজাহার পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুজ্জামান সুমন
মোবাইল :০১৯৩০-৫৫৬৩৪৩
ই-মেইল: 𝐬𝐮𝐦𝐨𝐧𝟔𝟑𝟑𝟔@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :
৭১,পুষ্প প্লাজা (৪র্থ তলা) কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত